Arabic Bangla Quran PDF Bangla Tafsir Quranul Qareem
চিত্র– পবিত্র আল-কুরআনের কভার ফটো।
PDF টির বৈশিষ্ট্য।
এই ওয়েবসাইটে Arabic to Bangla Quran বইটি উন্নতমানের সাদা কাগজের উপর মুদ্রিত হয়েছে। তাই লেখাগুলোর স্পষ্টতা অন্যান্য সাধারণ বই এর তুলনায় অনেক ভালো মানের হয়েছে। এবং Readers দের খুব সহজেই এর লেখা চোখে পড়ে, কোনো কষ্ট হয়না পড়ার ক্ষেত্রে। বইটির কভার পেইজ থেকে ভিতরের সকল কিছুর কারুকাজ ও লেখার শৈলী অসাধারণ সাজানো গোছানো। বইটির মধ্যে আরবি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত তাফসির তুলে দেয়া হয়েছে, যা বইটির গ্রহনযোগ্যতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে কুরআনকে পড়তে ও বুঝতে পারবে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকারে আসবে বলে মনে করা হয়। পবিত্র আল-কুরআনের এই ফাইলটি কোনো ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত নয়, সম্পূর্ণ পিওর একটি PDF ফাইল। সুতরাং বলা যায় যে আপনি কোনো ধরনের দুশ্চিন্তা ছাড়াই এই বইটি ডাউনলোড করে আপনার ডিভাইসে রাখতে ও পড়তে পারেন।
(ছবিগুলো বাম দিকে সরান।)
সংক্ষিপ্ত উপাত্তঃ–
আখ্যা– | বিবরণ– |
---|---|
নাম | আল-কুরআন |
বিষেশন | আরবি বাংলা কুরআন, সংক্ষিপ্ত তাফসির |
বানী | আল্লাহ, রাহমান, ইলাহ |
শাখা | Arabic Islamic Book |
ভাষা | আরবি, বাংলা |
ধরন | PDF File |
প্রকাশনা | দারুস সালাম |
প্রকাশ কাল | নভেম্বর ২০০১ ইং |
Download এর কারন?
আপনি কেন এই PDF টি Download করবেন, তার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমন, প্রতিটি কাজের কোনো না কোনো উদ্দেশ্য থাকে। তাই Al Quran Arabic to Bangla পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার মাতৃ ভাষায় পবিত্র আল-কুরআন শিখতে ও বুঝতে পারবেন। যেটি আপনার জন্য অধিকতর সহজ হবে আরবি ভাষার কুরআন শিখতে। জ্ঞানার্জন দিয়ে মানুষ তার নিজস্ব ব্যক্তিত্বকে পুরোপুরিভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই সকল মানুষের জন্য জ্ঞানার্জন করা খুবই জরুরি একটি বিষয়। আর আপনি পবিত্র আল-কুরআনের এই বইটির দ্বারা আপনার সৃষ্টিকর্তার সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন সৃষ্টি সম্পর্কিত উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। সুতরাং এই বইটি আপনার জন্য খুবই উপকারী একটি বই। আর এই বইটি অনেক হালকা ও বহন যোগ্য। এবং এই সকল বই আমরা শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উপহার দিয়ে থাকি।
বিস্তারিত বিষয়।
উপাধি/নাম–
আল-কুরআন। কুরআন শব্দের অর্থ পঠিত, যাহা অধিক পাঠ করা হয়। এই কিতাবটি সকলের কাছে বিশেষ করে আল-কুরআন নামেই অধিকতর পরিচিত। তবে এর আরো অনেক নাম রয়েছে। যেমন- আল-ফুরকান, আল-কিতাব, আজ-জিকর ইত্যাদি। আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহঃ) এর মতে পবিত্র আল-কুরআনের ৫৫ টি নাম রয়েছে। মুফতি হযরত তকি উসমানি সাহেব পবিত্র আল-কুরআনের নাম ৯০ টিরও অধিক বলে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি কুরআনুল কারিমের প্রকৃত নাম ৫টি ছাড়া বাকী সবগুলোকে তার বিশেষণ বা গুনবাচক নাম হিসেবে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
পরিচয়–
আল-কুরআন হলো ইসলাম ধর্মের একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। সকল মুসলমানগণ এই পাক ঐশী গ্রন্থের হুকুম আহকাম মেনে চলেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুবুওয়াত লাভের পর সুদীর্ঘ তেইশ বছর ধরে হযরত মুহাম্মদ (স.) -এর উপর এই পবিত্র আল-কুরআনের বাণীসমূহ পর্যায়ক্রমে অবতীর্ণ হয়। সম্পূর্ণ কুরআনে ৩০টি পারা, ১১৪টি সূরা, ৭টি মানজিল, ১৬টি সিজদাহ (শাফি মাযহাবে ১৫টি) এবং ৬৬৬৬টি আয়াত রয়েছে। এবং আয়াত সংখ্যার বিষয়ে কিছুটা মতভেদ রয়েছে। আর এর পবিত্র সূরাগুলির কিছু মক্কায় এবং কিছু মদিনায় নাজিল হয়। কোনো কোনো সূরা অবতীর্ণ হয় মক্কায়, কিন্তু তার কিছু আয়াত অবতীর্ণ হয় মদিনায়। তদ্রূপ মদিনায় অবতীর্ণ কোনো কোনো সূরার কিছু আয়াত অবতীর্ণ হয় মক্কায়। আবার মক্কা-মদিনার বাইরেও কোনো কোনো সূরার আয়াত নাজিল হয়েছে। হিজরতের পূর্বে মক্কায় নাজিলকৃত সূরাগুলি মাক্কী এবং হিজরতের পরে নাজিলকৃত সূরাগুলি মাদানী নামে পরিচিত। আর এগুলো একত্রে/সমন্বয়ে মহা-গ্রন্থ পবিত্র আল-কুরআন।
বৈশিষ্ট্য–
মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের শব্দগত ভাষা আরবি। তবে পবিত্র আল-কুরআনের ভাষা ও প্রকাশভঙ্গি সমসাময়িক আরবি সাহিত্য থেকে ভিন্ন। আল-কুরআনে যেমন রয়েছে কাব্যের শৈলীর মাধুর্যতা, তেমনি রয়েছে গদ্যের সহজ-সাবলীল সুন্দর গতি পথ ও গাম্ভীর্য ভাব। এ ছাড়াও আল-কুরআনের পবিত্র আয়াতগুলিতে সাধারণত অন্ত্যমিল পরিদৃষ্ট হয় এবং এককালীন অবতীর্ণ আয়াতগুলির অন্ত্যমিল একই প্রকৃতির। কুরআনের রচনাশৈলীর আর একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর উদাহরণ ও উপমাসম্ভার। ভবিষ্যতবাণী ও ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনাবলী পবিত্র আল-কুরআনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক।
কুরআন সংকলনের ইতিহাস–
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের পূর্বে পবিত্র আল-কুরআন পরিপূর্ণ একটি গ্রন্থরূপে সংকলিত বা লিপিবদ্ধ করা হয়নি, হাকিকত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাত পর্যন্ত পবিত্র আল-কুরআনর অবতরণ-কার্যক্রম চলমান ছিল। নাজিলকৃত আয়াত সমূহ তখন চামড়া, গাছের ছাল/বাকল, পাথর, পশুর হাড়ের টুকরো ইত্যাদিতে লিখে রাখা হতো। তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবিত অবস্থায় মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ মোতাবেক আল-কুরআনের সমস্ত আয়াত সমূহের ধারাবাহিক বিন্যাসক্রম সঠিক করে দিয়েছিলেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর অনেক সাহাবীগন সম্পূর্ণ আল-কুরআন মুখস্থ করেছিলেন। আর যাঁরা পবিত্র আল-কুরআন মুখস্থ করেন তাঁদের বলা হয় হাফিজ বা হাফেজে কুরআন।
ইয়ামামার যুদ্ধ- ৬৩২ সালের ডিসেম্বরে বর্তমান সৌদি আরবের ইয়ামামা নামক স্থানে মুসলিম ও স্বঘোষিত নবী মুসায়লিমার পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ রিদ্দার যুদ্ধের একটি অংশ ছিল। আর রিদ্দার যুদ্ধ খলিফা আবু বকরের শাসনামলে ৬৩২ থেকে ৬৩৩ সালের মধ্যে সংঘটিত হয়। তা ছিল কিছু বিদ্রোহী তুলায়হা, মুসায়লিমা ও সাজাহর বিরুদ্ধে। এই তিন ব্যক্তি নিজেদের নবী দাবি করত।
যাইহোক ইয়ামামার যুদ্ধের ঘোষণায় ফিরে আসি, ইয়ামামার যুদ্ধে পবিত্র আল-কুরআনের অনেক হাফিজ শহীদ হন। যাতে হযরত ‘উমর (রা.) কুরআনের সঠিক সংরক্ষণ করার বিষয়ে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং তাঁর মূল্যবান প্রস্তাবের ফলেই ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা.) আল-কুরআনের বিচ্ছিন্ন অংশগুলি বিভিন্ন জায়গা থেকে একত্র করে গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা/পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এবং তিনি পবিত্র আল-কুরআনকে একটি গ্রন্থাকারে রুপ দেন।
ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবূ বকর রাদিআল্লাহু আনহু এর ওফাতের পর খলিফা হযরত উমর রাদিআল্লাহু আনহু এর কাছে কুরআনের অনুলিপিটি সংরক্ষিত থাকে। তিনি সেই আলোকে তার রাজ্য পরিচালনা সহ মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান জানান। এবং ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান রাদিআল্লাহু আনহু মূল কুরআন থেকে কিছুসংখ্যক অনুলিপি তৈরি করে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামী রাষ্ট্রের বিচারক তথা কাজির নিকট প্রেরণ করেন যাতে তারা পবিত্র আল-কুরআনের নীতি অনুযায়ী বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। আর এর মাধ্যমেই সর্বসাধারণের কাছে আল-কুরআনের পান্ডুলিপি হস্তগত হয়। সুতরাং এই কারণেই হযরত উসমান রাদিআল্লাহু আনহুকে বলা হয় আল-কুরআনের সংকলক বা জামি‘উল-কুরআন।
শিক্ষা ও উদ্দেশ্য–
আল্লাহ তায়ালা চান সকল মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে। তাই মহান সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহ্-তা‘আলা মানুষের হিদায়াত, মুক্তি ও উপদেশের উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে আল-কুরআনকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাজিল করেছেন। মানুষ যেনো এই দুনিয়ায় পাপ কার্য করে পরকালে শাস্তি না পায় সেই আলোকে উপদেশ প্রদান করা হয়েছে।
আল-কুরআনের সর্বপ্রথম ব্যাখ্যাদাতা ছিলেন স্বয়ং হযরত রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি আল-কুরআনের যে অংশ যখন অবতীর্ণ হতো তখনই তার ব্যাখ্যা দিতেন। পরবর্তীকালে ইসলামী চিন্তাবিদগণ তাঁদের স্ব-স্ব জ্ঞান ও প্রতিভার আলোকে পবিত্র আল-কুরআনের তাফসির বা ব্যাখ্যা গ্রন্থ রচনা করেন। কয়েকটি প্রসিদ্ধ তাফসির গ্রন্থ হলো: তাফসীর জামি‘উল বায়ান, তাফসীর আল-কাশশাফ, তাফসীর আল-বায়যাবী, তাফসীর ইবন কাছীর ইত্যাদি। আর সামগ্রিকভাবে আল-কুরআন মানুষের মধ্যে সাম্য, মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। পবিত্র আল-কুরআন বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের জন্য নয়, এটি সমগ্র মানব জাতির জন্য এবং সকল সৃষ্টিকুলের জন্য।
আল-কুরআন হলো একটি সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ। মুসলমানগণ নামাযের মধ্যে আল-কুরআনের আয়াত পাঠ করে। আল-কুরআনের বিষয়াবলি বিস্তারিত এবং ব্যাপক। ইসলামের মূল ভিত্তি তাওহিদ বা একাত্ববাদ। অর্থাৎ "মহান আল্লাহ তায়ালার কোনো শরীক নেই তিনি এক এবং অদ্বিতীয়"। এবং ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ পয়গম্বর আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাপারে বিস্তারিত ও স্পষ্ট আলোচনা করা হয়েছে। আল-কুরআনের বিষয়াবলির মধ্যে বিশেষ চারটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য:–
১. স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির সম্পর্ক।
২. স্রষ্টার সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক।
৩. মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক।
৪. মানুষের সঙ্গে অন্যান্য সৃষ্টির সম্পর্ক।
শেষ কথা–
পবিত্র আল-কুরআন হলো সকল মানুষ ও জ্বীন জাতির জন্য একটি পরিপূর্ণ সংবিধান। যার মধ্যে রয়েছে এহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ। সুতরাং আমাদের উচিত পবিত্র আল-কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা।
Go To Download Link
Post a Comment
0 Comments
Please think before you comment and do not enter any spam link in the comment box......